বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কিশোর গ্যাংয়ের’ লাগাম টানতে অভিযান, ৫ দিনে আটক ৭০ 

  •    
  • ৩১ মে, ২০২১ ২১:৫৭

স্থানীয় লোকজন জানান, স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরোনোর আগেই তরুণদের একটি অংশ শহরে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অলিগলিতে বখাটে এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের উপদ্রবে তারা অতিষ্ঠ। 

কক্সবাজার শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ‘নিয়ন্ত্রণহীন’ কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য থামাতে সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে জেলা পুলিশ।

গত সোমবার থেকে পাঁচ দিনের অভিযানে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সন্দেহে ৭০ জনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের মধ্যে ১৫ জনকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদের মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরোনোর আগেই তরুণদের একটি অংশ শহরে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অলিগলিতে বখাটে এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের উপদ্রবে তারা অতিষ্ঠ।

তারা আরও জানান, অভিযানের পর কিশোর গ্যাংয়ের অনেক সদস্য এলাকা ছেড়েছে। এতে শহরে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।

শহরবাসীর মতে, নিয়মিত এমন অভিযান চললে নগরে শান্তি থাকবে। ছিনতাই, খুন, তুচ্ছ বিষয়ে মারামারি, নারীদের শ্লীলতাহানি, ইভটিজিং, মোটরবাইক চুরি, মাদক সেবন ও বিক্রির মতো অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে।

পুলিশ জানিয়েছে, কক্সবাজার শহর ও জেলাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের নজরদারিতে রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। কক্সবাজার জেলাজুড়ে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে একযোগে কাজ করছেন তারা।

কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২-এর স্পেশাল পিপি সৈয়দ রেজাউর রহমান অভিযোগ করেন, করোনা পরিস্থিতিতে ভয়ানক হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। তাদের হাতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বয়সের নারীরা ছিনতাই ও ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছেন। অপরাধমূলক নানা কাজেও লিপ্ত হচ্ছে এরা।

তিনি বলেন, এদের কারণে সাধারণ মানুষের রাস্তায় চলাচল করার মতো পরিবেশও নেই। প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকলে কিছুটা হলেও এরা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুল গিয়াস জানান, সংশ্লিষ্ট আইনে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে লেখাপড়া বা চাকরির সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনকে সতর্ক করে অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। এ অভিযান চলবে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, কক্সবাজার শহর ও জেলাজুড়ে প্রতিটি থানায় কিশোর গ্যাংবিরোধী অভিযান চলবে। অপরাধ কমাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সচেষ্ট রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর